পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১২

মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

কর প্রেম
নাহি SHAME
গিয়ে বসো রোদ্দুরে
প্রেম ভেজা দুপ্পুরে

দুটি দেহ এক মন
সাথে থাক নলবন

শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আঘাত

প্রেম? খায় না মাথায় দেয়?

শিশুটা জন্মেছে পাথরে হাতুড়ি ঠোকার শব্দ শুনে,

তার কাছে গোলাপের কোনও মানে নেই,ভাগে তার শুধু কাঁটা।

জীবন বড় নিষ্ঠুর, বাস্তব বড় কঠোর,

মাথা থেকে পড়া ঘাম মুছে দেয় ছেনীর আঘাত।

কিন্তু শব্দ থেকে যায়,আদি অনন্তকাল,

কখনও তা ভাঙ্গায় সভ্যতার ঘুম, কখনও জায়গা নেয় আস্তাকুঁড়ে।

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১২

তিষ্ঠ ক্ষণকাল

আজ বাংলা সাহিত্যজগতের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৮৮তম জন্মদিবস। ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে আজকের দিনে তিনি তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন রাজনারায়ন দত্ত ও মাতা জাহ্নবী দেবী। তিনি কৈশোর থেকেই পাশ্চাত্য সাহিত্যের অনুরাগী ছিলেন। মহাকবি মিলটন এর কবিতা তিনি বিশেষ পছন্দ করতেন। পাশ্চাত্যের প্রতি আকর্ষণ থেকে তিনি খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন ও পিতার বিরাগভাজন হন।

5862-30145-29_06_2011_____time______01_506605

 

১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি “The Captive Ladie” নামে একটি ইংরেজী কাব্য রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের সফল প্রয়োগ তিনি প্রথম করেন “তিলত্তমাসম্ভব কাব্য” তে। তাঁর লেখা সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হল “মেঘনাদবধ কাব্য”। এই কাব্যে তিনি লঙ্কাপতি রাবণ এর পুত্র মেঘনাদ এর বীরত্বকে মর্যাদা প্রদান করে তাঁকে নায়ক হিসাবে দেখিয়েছেন।

তাঁর আর একটি অবদান হল ইতালীয় ভাষার Sonnet কে বাংলায় প্রবর্তন করা, যা পূর্ণরূপ পায় ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে “চতুর্দশপদী কবিতাবলী” প্রকাশের মাধ্যমে।

তিনি দীনবন্ধু মিত্রের লেখা “নীলদর্পণ” নাটকের ইংরেজী অনুবাদ করে দেন মাত্র এক রাত্রের মধ্যে।

১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পরলোকগমন করেন। তিনি নিজের সমাধিলিপি রচনা করেছিলেন, যা আজও তাঁর সমাধিফলকে জ্বলজ্বল করছে।

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১২

ওয়ারিশ

আজ একটা ছবি এখানে পোস্ট করছি যা আমার মনকে খুব নাড়া দিয়েছে। আশা করি আপনারা এই ছবিটি পছন্দ করবেন এবং ছবিটির মধ্যে যে আবেদন আছে সেটিকে উপলব্ধি করতে পারবেন।

গত ২০-২২শে জানুয়ারী মধ্যপ্রদেশ  এর ভোপাল শহরে জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় "শিশুদের খাদ্যের অধিকার" বিশয়ে।এই কনভেনশন টা আয়োজন করে ৬ বছরের কম বয়সী শিশু যারা শ্রমিক পরিবারভুক্ত এবং কিছু সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই কনভেনশনে আলোচিত বিষয়গুলি খানিকটা এইরকমঃ

  • অপুষ্টিজনিত শিশুমৃত্যুর কারন পর্যালোচনা
  • প্রতিটি শিশুকে খাদ্য বণ্টন
  • অপুষ্টিজনিত ঘটনা রোধে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ভুমিকা
  • সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা ঘোষিত বিভিন্ন প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা
  • জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা বিল

403674_154801494633151_105002452946389_231396_1861854382_n

উপরের ছবিটি ২ বছর বয়স্ক বৈষ্ণবী এবং তার মা সঙ্গীতা দেবীর। সঙ্গীতা পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। ২০০১ সালে মধ্যপ্রদেশের মুলতাই টাউনশিপে একটি দুর্ঘটনায় সঙ্গীতা তাঁর দুটি হাত হারায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট বৈষ্ণবী তার মা কে তার ছোট্ট দুটি হাত দিয়ে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে। মা ও তার সন্তানের মধুর সম্পর্ক যা সেই আদিকাল থেকে চলে আসছে তার একটি অপরুপ নিদর্শন হল উপরের ছবিটি।ছবিটি আমাদের একটু নতুন করে ভাবতে শেখায়। আমাদের সামনে ভেসে ওঠে পরস্পর বিরোধী দুই ভারতবর্ষের ছবি। একদিকে কিছু মানুষ ধনসম্পদের চুড়ায় অধিষ্ঠান করছে অপরদিকে অসংখ্য কোমলমতি শিশুরা দুমুঠো ভাত এর জন্য নিজেদের শৈশব কে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

অপরদিকে উপরের ছবিটি আমাদের মনে সাহস যোগায় যেকোনো প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর, নিজের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে।

সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১১

 

Swami_Vivekananda_2

শত সহস্র নিপীড়িত ভারতবাসী মাঝে
ক্লান্ত এক জাতি নামে বাঙালী
ছিল তারা বাঙালী হয়ে, মানুষ হয়ে নয়
তারই মধ্যে জন্মিল সে বীরসন্ন্যাসী
বিবেকের ডাকে ছাড়ল যে সংসার
বিশ্বদরবারে  প্রতিষ্ঠা করল
সুপ্রাচীন হিন্দুধর্মের অধিকার
করল ঘোষণা দৃপ্তকণ্ঠে
"বহুরূপে সম্মুখে তোমার
ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর
জীবে প্রেম করে যেই জন
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।"

রাতের পর রাত কেটে যায়
জেগে আছি আমি
আর আধপোড়া স্বপ্নগুলো
জেগে আছে চোখের কোণে